ফরেক্স মার্কেট বেসিক হল কারেন্সি পেয়ার।
শেয়ার মার্কেটের নিয়ম হচ্ছে যেকোনো শেয়ারের মূল্য সে দেশের মুদ্রার বিপরীতে নির্ধারিত হবে। যেমন, আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে কোনো শেয়ারের মূল্য টাকায় নির্ধারিত হয়।
কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে এভাবে কোন দেশের মূদ্রা বা কারেন্সির মান নির্ধারণ অসম্ভব। শুধু ইউরো বা ডলারের কোন মূল্য থাকতে পারে না। যেমনঃ ১ ডলার দিয়ে ৭৩ বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যায়। এবার ১ ডলার দিয়ে মাত্র ০.৭০ ইউরো অথবা ০.৯৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পাওয়া সম্ভব। আবার যদি জাপানিজ ইয়েনের কথা ধরি, তাহলে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০ ইয়েন পাবেন। তাহলে, ডলারর মূল্য আসলে কোনটি? বিভিন্ন দেশের মানুষই তো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে, কোন দামে তারা ডলার কিনবে?
কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে এভাবে কোন দেশের মূদ্রা বা কারেন্সির মান নির্ধারণ অসম্ভব। শুধু ইউরো বা ডলারের কোন মূল্য থাকতে পারে না। যেমনঃ ১ ডলার দিয়ে ৭৩ বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যায়। এবার ১ ডলার দিয়ে মাত্র ০.৭০ ইউরো অথবা ০.৯৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পাওয়া সম্ভব। আবার যদি জাপানিজ ইয়েনের কথা ধরি, তাহলে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০ ইয়েন পাবেন। তাহলে, ডলারর মূল্য আসলে কোনটি? বিভিন্ন দেশের মানুষই তো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে, কোন দামে তারা ডলার কিনবে?
এই জন্যই ফরেক্স মার্কেটে সবকিছু কারেন্সি পেয়ারের মাধ্যমে ট্রেড হয়।
যেমন ধরুন, EUR/USD (ইউরো/উএসডি), একটি কারেন্সি পেয়ার। বর্তমানে 1 EUR/USD = 1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন। তাহলে, 1 USD/EUR নির্দেশ করবে ১ ডলার দিয়ে আপনি কত ইউরো পাবেন? উত্তর হবে, ঠিক উল্টো, 1/1.4434 বা ০.6928 অর্থাৎ ১ ডলার দিয়ে আপনি ০.6928 ইউরো পাবেন।
ফরেক্স এ আপনি যেসব শেয়ার ক্রয় করছেন তা মুদ্রায় পূর্ণ নামে ডাকা হয় না, প্রত্যেকটি কারন্সিকে তিনটি রেফারেন্স কোড (ISO Code) এর মাধ্যমে ডাকা হয়। এইক্ষেত্রে প্রথম দু’টি কোড হল ঐ দেশের নামের সংক্ষিপ্ত রুপ এবং ৩য় কোডটি হল ঐ দেশের মুদ্রার/কারেন্সির প্রথম অক্ষর। যেমনঃ
United (U)
United (U)
States (S) Dollar (D) = USD.
Great (G) Britain (B) Pound (P)= GBP
ফরেক্স মার্কেটে প্রত্যেকটি কারন্সি এককভাবে না থেকে জোড়ায় জোড়ায় থাকে তার কারন একটির বিপরীতে আরেকটি এক্সচেঞ্জ করার জন্য। জোড়ার প্রথম কারেন্সিকে Base কারেন্সি এবং দ্বিতীয় কারেন্সিকে Quote/Counter/Ref/Term কারেন্সি বলা হয়। কারেন্সির ধরন এর উপর ভিত্তি করে এগুলোকে দুটি গ্রুপে ভাগ করে হয়েছে। মেজর কারেন্সি ও ক্রস-কারেন্সি।