প্রাইস অ্যাকশন কি?
প্রাইস অ্যাকশন হল একটি স্মার্ট ট্রেডিং পদ্ধতি যেখানে ট্রেডার চার্ট দেখে বুঝতে পারে অনুধাবন করতে পারে বর্তমান মার্কেট অবস্থা কি এবং কোন সময়ে কোন পেয়ারটির অবস্থা কি হতে পারে ইত্যাদি। আসলে প্রাইস অ্যাকশন একটা নাম মাত্র আপনি চার্ট দেখে কতটুকু বুঝতে পারছেন কিংবা আরেকজন ট্রেডার ঠিক একই চার্ট দেখে কি অনুধাবন করল এবং সেই মোতাবেক কতটুকু সঠিক ট্রেড করতে পারলো তাই বোঝায়।
শুধুমাত্র একটি পরিষ্কার Candlestick Chart এ মার্কেট প্রাইজ উঠানামার ভিত্তিতে করা ট্রেডিং সিস্টেমকে Price Action Trading বলে । অর্থাৎ এক্ষেত্রে Moving Average এবং Support - Resistance ছাড়া আপনাকে দ্বিধায় ফেলে দিতে পারে এমন কোন Indicator ব্যবহার করা যাবে না । চার্টে প্রদর্শিত মার্কেটের গতিবিধিই এর পরবর্তী দিক- নির্ধারণের জন্য যথেষ্ট । প্রয়োজনে নেই কোন Fundamental Analysis এর।
Price Action Trading সর্বদা পরিবর্তনশীল ফরেক্স মার্কেটে একমাত্র স্বীকৃত পদ্ধতি। যা কিনা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত একই রকম কার্যকর রয়েছে । অন্যান্য Mechanical Trading System এর সাথে এর প্রধান পার্থক্য হল, এটি খুবই সাধারন এবং সরল। এটি মার্কেটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে আপনাকে রাখবে শান্ত, ধির-স্থির। প্রায় নিশ্চিত লাভের ট্রেড সেটআপে আপনাকে করবে আত্মবিশ্বাসী। সময়ের সাথে সঠিক অনুশীলনে আপনি হয়ে উঠবেন একজন অভিজ্ঞ ট্রেডার। Market Future PREDICTOR ! ! !
কিভাবে আপনি প্রফিট করতে প্রাইস অ্যাকশন ব্যাবহার করবেনঃ
প্রাইস অ্যাকশন বুঝতে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে মুলত আপনি এই বিষয়গুলোর মাধ্যমেই প্রাইস অ্যাকশন বুঝবেন।
- বর্তমান ট্রেন্ডটি কি?
- ট্রেন্ডটি কি কোন রেঞ্জ ব্লকে আছে কিনা?
- সাপোর্ট বা রেজিসটেন্স এর কতটুকু কাছাকাছি বর্তমান প্রাইসটি অবস্থান করছে?
- মার্কেট কি কোন রিভার্স ট্রেডিং এর ফর্ম তৈরি করেছে কিনা?
আসলে একটি সফল প্রাইস অ্যাকশন বোঝার জন্য সম্পূর্ণ চার্টটি গুরুত্তপুর্নতার সাথে দেখতে হয় প্রতিটি বিষয় অতি সুক্ষতার সাথে দেখে যত বেশি প্রাইস মার্ক করা যায় আপনি ততই প্রাইস গতিবিধি ভালো বুঝবেন। ফরেক্স প্রাইস অ্যাকশনের একটি গুরুত্তপুর্ন বিষয় হল ট্রেন্ড ট্রেডিং প্রাইস অ্যাকশন।
স্বাভাবিকভাবে আমারা সব ট্রেডাররাই ট্রেন্ড কম-বেশি বুঝি এবং ট্রেড করার সময় সবার প্রথম নজর থাকে বর্তমান ট্রেন্ডটির দিকে। আমার সবাই একটি কমন টেল জানি, “Trend is your friend until it bends” আসলেই সত্যি এবং সফল ট্রেড গুলোর পেছনের গল্প হল সঠিক ট্রেন্ড ধরে ট্রেড করা। কিন্তু সমস্যা হল সব সময় আমরা সঠিক ট্রেন্ডটি ধরতে পারি না। বেশিরভাগ সময় এমন হয় যে মার্কেট রেঞ্জ বাউন্ড করে মুভ করে ফলে ধরা যায় না বা বুঝতে অনেক অসুবিধা হয়ে যায় যে বর্তমান ট্রেন্ডটি আসলে কি।
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি টুল। ট্রেডারদের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স নির্নয় করার জন্য ট্রেডারদের ভিন্ন মতামত থাকতে পারে। চলুন দেখি ...
কালো যেই লাইনটা দেখছেন সেটাকে প্রাইস ধরুন। প্রাইস ১টা পয়েন্টে গিয়ে আবার ফিরে আসছে আবার আর একটা পয়েন্টে গিয়ে দিক পরিবর্তন করছে। যখন প্রাইস উপরের দিকে উঠে আর এক পয়েন্টে গিয়ে ঠেকে যায় (মানে সেই পয়েন্ট ভাঙতে পারে না) আর ফেরৎ আসে সেটাকে রেজিস্টেন্স বলে। যখন প্রাইস নিচের দিকে নামে আর এক পয়েন্টে গিয়ে ঠেকে যায় (মানে সেই পয়েন্ট ভাঙতে পারে না) আর ফেরৎ আসে সেটাকে সাপোর্ট বলে। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স আপনাকে পরবর্তী মার্কেট কন্ডিশনের পূর্বাভাস দিতে পারে।
একটা জিনিস সবসময় মনে রাখবেন যে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স কোন নির্দিষ্ট নম্বর অথবা সংখ্যা নয়।
প্রায়ই দেখবেন যে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভেঙেছে কিন্তু তারপর দেখবেন যে মার্কেট সেই লেভেলগুলোকে টেস্ট করছিল যা পরবর্তীতে ক্যান্ডেলস্টিক শ্যাডো আকারে দেখা যায়।
একটা জিনিস সবসময় মনে রাখবেন যে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স কোন নির্দিষ্ট নম্বর অথবা সংখ্যা নয়।
প্রায়ই দেখবেন যে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভেঙেছে কিন্তু তারপর দেখবেন যে মার্কেট সেই লেভেলগুলোকে টেস্ট করছিল যা পরবর্তীতে ক্যান্ডেলস্টিক শ্যাডো আকারে দেখা যায়।
প্রথমে ১.৫৬৮২ তে আমরা রেজিস্ট্যান্স একেছি। লক্ষ্য করুন যে প্রাইস সেই রেজিস্টেন্স ভেদ করে গেছে কিন্তু আবার নিচে নেমে এসে রেজিস্টেন্সের নিচে ক্লোজ হয়েছে।
আবার ১.৫৫৪৬ এ দেখুন। প্রাইস কয়েকবার ১.৫৫৪৬ এর নিচে গেছে কিন্তু ক্লোজ হয়েছে ১.৫৫৪৬ সাপোর্ট লাইনের উপরে।
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স সবসময় প্রাইসকে এক জায়গায় ঠেকিয়ে রাখবে না। সেটা ব্রেক ও করবে।
কি ভাবে জানব যে সেটা ব্রেক করেছে?
আসলে এটার কোন উওর নেই। কেউ কেউ বলে যে যদি প্রাইস সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লাইনের বাইরে ক্লোজ হতে সক্ষম হয় তাহলে বুঝতে হবে যে তা ব্রেক করেছে। কিন্তু যখন আপনি পরীক্ষন করবেন, তখন দেখবেন যে এটা সবক্ষেএে সত্য না। চলুন দেখি ...
আবার ১.৫৫৪৬ এ দেখুন। প্রাইস কয়েকবার ১.৫৫৪৬ এর নিচে গেছে কিন্তু ক্লোজ হয়েছে ১.৫৫৪৬ সাপোর্ট লাইনের উপরে।
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স সবসময় প্রাইসকে এক জায়গায় ঠেকিয়ে রাখবে না। সেটা ব্রেক ও করবে।
কি ভাবে জানব যে সেটা ব্রেক করেছে?
আসলে এটার কোন উওর নেই। কেউ কেউ বলে যে যদি প্রাইস সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লাইনের বাইরে ক্লোজ হতে সক্ষম হয় তাহলে বুঝতে হবে যে তা ব্রেক করেছে। কিন্তু যখন আপনি পরীক্ষন করবেন, তখন দেখবেন যে এটা সবক্ষেএে সত্য না। চলুন দেখি ...
উপরের চার্টটিতে ১.৪৪৫৭ এ প্রাইস রেজিস্টেন্স ব্রেক করেছে আবার ১.৪১২৬ এ প্রাইস সাপোর্ট ব্রেক করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলেন যে প্রাইস সেই লেভেলগুলোকে আসলে টেস্ট করছিল। এইসব ফলস ব্রেকআউট থেকে কিভাবে বাচা যায়? আমরা যদি সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্সকে জোন: হিসেবে ধরি তাহলে ফলস ব্রেকআউট থেকে বাচতে পারি। চলুন দেখি
একই চার্টে আমরা সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্সকে জোন হিসেবে আকলাম। এখন আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে আসলে প্রাইস ওই লেভেলগুলো টেস্ট করছিল।
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স সম্পর্কে আর একটা কথা, যখন সাপোর্ট ব্রেক করে, তারপর সেটা রেজিস্টেন্স হয়। আর রেজিস্টেন্স যখন ব্রেক করে তখন সেটা সাপোর্ট হয়। এটা ভালভাবে বুঝতে উপরের চার্টের পুর্বের প্রাইস লেভেলগুলো ভালভাবে দেখুন।
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স সম্পর্কে আর একটা কথা, যখন সাপোর্ট ব্রেক করে, তারপর সেটা রেজিস্টেন্স হয়। আর রেজিস্টেন্স যখন ব্রেক করে তখন সেটা সাপোর্ট হয়। এটা ভালভাবে বুঝতে উপরের চার্টের পুর্বের প্রাইস লেভেলগুলো ভালভাবে দেখুন।
কিন্তু ট্রেন্ড প্রাইস অ্যাকশন বিষয়টি যদি আপনার পরিস্কার থাকে তাহলে মার্কেট যতই রেঞ্জ বাউন্ড করুক না কেন আপনি ঠিকই ধরতে পারবেন যে মার্কেট আসলে কোন ট্রেন্ড। তাই এখন আমরা বুঝতে চেষ্টা করব প্রাইস অ্যাকশন ট্রেন্ড ট্রেডিং। প্রাইস সাথে ট্রেন্ড বুঝতে হলে প্রথমত আপনার চার্টটিকে পরিস্কার করে নিন। তারপর একটি উর্ধগামি বা নিম্নগামী ,আপ ট্রেন্ড বা ডাউন ট্রেন্ড চার্ট দেখতে পাবেন।
প্রথমত নিশ্চিত হউন যে আপনি ঠিক কোন ট্রেন্ডে আছেন, কারন আপনি কোন অরডার দিবেন কিংবা কতটুকু প্রাইস আপ বা ডাউন অ্যাকশনে যাবেন তা বোঝার জন্য ঐ চার্টটিকে আরো কিছু কারুকাজে সাজাতে হবে অর্থাৎ আপনাকে টেন্ড লাইন ড্র টুল দিয়ে লাইন ড্র করতে হবে, এতে করে বর্তমান ট্রেন্ড সম্পর্কে আপনি একটি ক্লিয়ার কন্সেপ্ট পেয়ে যাবেন এবং ছোট/বড় যে কোন ট্রেডের জন্য নিজেকে কনফিডেন্ট করতে পারবেন।
আর এই বিষয়টি ভালো ভাবে বোঝার জন্য সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স একটি গুরুত্তপুর্ন ভুমিকা রাখবে মুলত এই সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিস্টেন্স আর মাধ্যমেই আপনি প্রাইস এর আসল অ্যাকশন মার্ক করবেন এবং সেই মত ট্রেড স্টপ বা প্রফিট সেট পয়েন্ট তৈরি করবেন।
এই রকম একটি আপট্রেন্ড চার্টকে আরো নিখুত ভাবে ভাংলে পেয়ে যাবেন সাপোর্ট ও রেসিসটেন্স সহ আপনার ট্রেড টার্গেটেড এরিয়া এবং ঠিক এই পজিশনে ড্র করে ফেলুন ৩টি করে সাপোর্ট ও রেসিসটেন্স ব্লক যার প্রতিটি পয়েন্ট এক এক করে নির্দেশ দিবে ট্রেন্ড কোন দিকে ছুটছে।
মার্কেটের অবস্থা মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়, ট্রেন্ডিং মার্কেট,রেঞ্জিং মার্কেট ও ব্রেকআউট মার্কেট। এই ব্যাপারটা আমরা মার্কেটের চার্ট দেখে ও টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর মাধ্যমে বের করে নিতে পারি। কারন মার্কেটের পরিবেশই বলে দেয় মার্কেট কোন অবস্থানে রয়েছে।
প্রাইস রেঞ্জঃ
প্রথমেই আমাদের যেটা করতে হবে তা হল ট্রেডিং রেঞ্জ খুঁজে বের করা। মার্কেটে রেঞ্জ খুঁজে পাওয়া যায় ঠিক তখনি যখন প্রাইস একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বিচরণ করে থাকে। এ ধরণের মার্কেটকে মূলত সাইডওয়ে মার্কেট বলা হয়। এবং ট্রেডাররা সাইডওয়ে মার্কেটকে স্ক্যাল্পিংয়ের স্বর্গ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। যদিও এই সময় মার্কেট কোন নির্দিষ্ট দিক নির্দেশ করে না, কিন্তু এই রেঞ্জের মাঝে স্কাল্পিং এর সিগনাল খুঁজে পাওয়া যায়।
একটি চ্যানেলের মধ্যে যখন প্রাইস ঘোরাফেরা করে, তখন সেই পরিস্থিতিতে স্ক্যাল্পিং করা সহজ হয়ে যায়। রেঞ্জ নির্ণয় করার জন্য প্রধান কাজ হল সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স চার্টে খুঁজে বের করা। রেসিস্টেন্স ও সাপোর্ট লেভেল বের করার জন্য কেন্ডেলের হাই-লো গুলো যোগ করেই বের করা যায়। সাপোর্ট ও রেসিস্টেন্স বের করা আমাদের স্ট্রাটেজির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই এটি ভাল করে আঁকতে হবে।
রেঞ্জের মাঝে স্ক্যাল্পাররা খুব ভাল ট্রেড নিতে পারে, যেমন প্রাইস যখন সাপোর্টের কাছাকাছি তখন বাই ও যখন রেসিস্টেন্সের কাছাকাছি তখন সেল এন্ট্রি নিবে।
স্ট্রেটেজিক ব্রেকআউটঃ
ব্রেক আউট হচ্ছে প্রাইস যখন রেঞ্জ লেভেল ক্রস করে বাইরে চলে যায়, এবং নতুন সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্স লেভেল তৈরি করে। মার্কেট যখন রেঞ্জিং মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসে, তখন সাধারণত ব্রেকআউট হয়ে থাকে। যখন সাপোর্ট ব্রেক করে তখন তা পরবর্তী সেটআপের জন্য রেসিস্টেন্স হিসেবে কাজ করে, অনুরূপ রেসিস্টেন্স ব্রেক করলে তা পরবর্তী সেটআপের জন্য সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে।
ব্রেক আউটে ট্রেড করার জন্য আগে শিউর হয়ে নেওয়া উচিত। অনেক সময় মার্কেটে ফলস ব্রেক আউট দেখা যায় যা দেখে ট্রেড এন্ট্রি নিলে লস হবার সম্ভাবনা থাকে।
অনেক ট্রেডারই ব্রেকআউট ট্রেডিংয়ের জন্য পেন্ডিং অর্ডার ব্যবহার করে থাকেন। সেই ক্ষেত্রে হঠাৎ করে যদি সাপোর্ট বা রেসিসট্যান্স লেভেল ব্রেক হয়ে যায়, তাহলে আপনার পেন্ডিং অর্ডার অনুযায়ী বাই বা সেল ট্রেড এক্সিকিউট হবে।
ট্রেন্ডিং মার্কেটঃ
ব্রেকআউট মানেই সাধারণত তা নতুন একটি ট্রেন্ডের শুরু। সাধারণত ফরেক্সে প্রাইস একটি নির্দিষ্ট দিকেই মুভমেন্ট করে থাকে আর তাই হল ট্রেন্ড। এটি যেহেতু একমুখী তাই এই ক্ষেত্রে স্কাল্পিং এ বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। বলা হয়ে থাকে ট্রেন্ড হল আপনার ফ্রেন্ড। এবং ট্রেন্ডিং মার্কেটে ট্রেন্ডের বিপরিতে ট্রেড করা বোকামি। যদিও অনেকে স্ক্যাল্পিং পছন্দ করেন না। তবে ট্রেন্ডিং মার্কেটে ট্রেন্ডের দিকে স্ক্যাল্পিং করা নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়।
সুইং হাই এবং সুইং লো চিহ্নিত করার মাধ্যমে আপনি আপনি মার্কেটে নতুন ট্রেন্ডের শুরু হয়েছে কিনা তা সহজে বুঝতে পারবেন। টেন্ড খুঁজে বের করার জন্য কত গুলো ছোট ছোট মুভমেন্টের হাই বা লো-গুলোকে যোগ করলে তাতে সহজে ট্রেন্ডের দিক বোঝা যায়। ট্রেন্ড যদি হাইয়ার হাই, লোয়ার হাই তৈরি করে তবে আপট্রেন্ড ও বাই এন্ট্রি নেওয়া। আর লোয়ার লো বা হাইয়ার লো তৈরি করলে তা সেল সিগনাল স্কাল্পিং এর জন্য।
পিন বারঃ
প্রাইস অ্যাকশন ট্রেডিং পদ্ধিতিতে পিনবারকে প্রাইস অ্যাকশন ট্রেডাররা অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে কারণ পিনবার হল প্রাইস অ্যাকশান পদ্ধতিতে কনফার্ম রিভার্সেল বুঝার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়। এই জন্য একে রিভার্সেল ট্রেডিং সিগনাল বলা হয় যেটি আপনারা যেকোন টাইম ফ্রেমে, সকল কারেন্সি পেয়ারে দেখবেন। পিনবার হল একটি স্ট্রং প্রাইস রিভার্সেল সিগনাল যা একটি ক্যান্ডেলের সমন্বয়ে ঘটিত। পিনবার উভয় বায় এবং সেল ট্রেডে ঢুকতে একটি শক্তিশালী পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। মুলত এটি একটি ট্রেন্ড চেঞ্জ সিগনাল। পিনবারের ফুল নাম হচ্ছে 'Pinocchio bar', এই নামটি দেয়ার কারণ হল এটি আপট্রেন্ড বা ডাউনট্রেন্ড মাকের্ট সিগন্যালকে ভুল প্রমাণিত করে মার্কেটের বর্তমান প্রাইসকে ট্রেন্ডকে অন্য দিকে ফিরিয়ে দে, মানে প্রাইসকে রিভার্স করে। আমরা সকলেই জানি, প্রাইস অ্যাকশন বলতে সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স জোন বা পয়েন্টে নির্ভুল এন্টি নেয়ার পদ্ধিতেকেই বুঝানো হয় এবং যখন একটি পিনবার এই দুটি কোন এক পাশে চলে আসে তখন সকল প্রাইস অ্যাকশন ট্রেডাররা রির্ভাস এন্টি নিয়ে থাকে। সবচেয়ে সহজ বুঝার বিষয়টি হল, মাকের্ট সবসময় অর্ডার প্রেসারকেই ফলো করে এবং করবে। যার জন্য ৯৯% সময় পারফেক্ট পিনবার তার কাজ করে থাকে। এই জন্য আমাদের মূল লক্ষ্য হল পারফেক্ট বা পরিপূর্ণ বা বেস্ট পিনবার চিনে নেয়া। সবর্দাই মনে রাখবেন, একটি পরিপূর্ণ পিনবার সবসময় শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল দিয়ে থাকে। সামান্যতম ভুল বা অনিশ্চিত প্যার্টানে ট্রেড না করাই নিজের মূলধন রক্ষা করার সহজ উপায়।
যেভাবে পিনবার চিনবেনঃ
- ওপেন বা ক্লোজ হবে পূর্ববর্তী ক্যান্ডেল এর মধ্যে।
- ক্যান্ডেল বডি’র তুলনায় বার হতে অন্তত তিনগুন বেশি লম্বা।
- আশপাশের ক্যান্ডেলের চেয়ে এই ক্যন্ডেলের বার অনেক বড় থাকবে।
বিশেষ করে ট্রেন্ড চেঞ্জ হওয়া বা না হওয়ার বিষয়টাকে নিশ্চিত করতে পিন বারের মত শক্তিশালী প্রাইস অ্যাকশন পদ্ধতির আশ্রয় নিতে পারেন। এটি মুলত সাপোর্ট বা রেজিসটেন্স এর একটি পূর্ণ রুপ এবং ট্রেডে ঢুকার জন্য একটি ভালো প্রটোকল।
উপরের চিত্রে দৈনিক ( D1 ) এ গড়ে উঠা স্পষ্ট একটি সেল ট্রেন্ড তৈরি হতে দেখছি আমরা যা বাই ট্রেন্ডকে রিভার্সেল আনতে পিন বার অনেকটুকুই ভাল কাজ করেছে এবং ট্রেন্ড চেঞ্জ নির্দেশ করছে। এইভাবে বাই রিভার্সেল পিনবার প্রাইস অ্যাকশনে সুন্দর সেল ট্রেড করতে পারেন আপনারা।
পিনবারের গঠন :
পিনবারের ক্যান্ডেলের ওপেন পজিশন থেকে লেগ এবং বডির সাইজ অনুপাত হবে ৪:১। আমি উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদের বিষয়টি পরিষ্কার করে দিচ্ছি, ধরুণ ডাউন-ট্রেন্ড মাকের্টে আমরা একটি বিয়ারিশ পিনবার দেখা যাক। ধরে যাক -
- ক্যান্ডেলের ওপেন পজিশন হল ১.১১৫০
- লো পজিশন ১.১১০০
- হাই পজিশন ১.১১৬২
- ক্যান্ডেল ক্লোজিং পজিশন ১.১১৫৭
আসুন তবে এইবার পারফেক্ট পিনবার ক্যান্ডেলের পোস্টমর্টেম শুরু করা যাক। এটি একটি বাই পিনবার ক্যান্ডেল কারণ ওপেন পজিশন থেকে ক্লোজিং পজিশন উপরে আছে অর্থাৎ (ওপেন পজিশন হল ১.১১৫০ - ক্লোজিং পজিশন ১.১১৫৭) = বাদ দিলে ৭ পিপস আপে মাকের্ট ক্লোজ হয়েছে।
- বডি পাশে ছোট লেগ(হাই পজিশন ১.১১৬২ - ক্যান্ডেল ক্লোজিং পজিশন ১.১১৫৭) = ৫ পিপস আছে। (ওপেন পজিশন হল ১.১১৫০ - লো পজিশন ১.১১০০) বাদ দিলে = মাকের্ট ৫০ পিপস ডাউন গিয়েছিল যার জন্য আমরা ৫০ পিপসের লং ডাউন লেগ দেখবো এই ক্যান্ডেলে।
- অন্যপাশে ক্যান্ডেলের আপ পজিশন হলো (ওপেন পজিশন হল ১.১১৫০ - হাই পজিশন ১.১১৬২) = মাকের্ট সবমোর্ট ১২ পিপস আপ গিয়েছিল।
- তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এইখানে ৫০ পিপসের লেগ(ছায়া), মূল ক্যান্ডেল বডি ৭ পিপস, বডি পাশে ছোট লেগ ৮ পিপস আছে। মাকের্টের আপ পজিশন ১২ পিপস।
আমাদের পিনবারের মূল শর্ত হল, কমপক্ষে লং লেগের ৪ ভাগের ১ ভাগ হবে মাকের্টের আপ পজিশন। অর্থাৎ আমাদের এইখানে লং লেগ হল ৫০ পিপস একে যদি ৪ ভাগ করা হয় তবে এটি হবে (৫০ পিপস /৪= ১২.২ পিপস) এবং আমাদের মাকের্টের আপ পজিশন(ওপেন পজিশন হল ১.১১৫০ - হাই পজিশন ১.১১৬২) ছিল ১২ পিপস। তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি পিনবারের শর্ত এইখানে পূর্ণ হয়েছে লং লেগের ৪ ভাগের ১ ভাগ অবশ্যই মাকের্টের আপ পজিশনে থাকবে। আর যদি ১ ভাগের চেয়ে কম থাকে তবে এটি পারফেক্ট পিনবার নয়। সকল পিনবারই কম-বেশি মাকের্টে কাজ করে শুধু মাত্র কত পিপস মুভমেন্ট করবে সেটি নির্ভর করে সঠিক পিনবারের উপর।
পিনবার ট্রেডিং এ ট্রেডারদের করণীয় :
- কোথায় পিনবার গঠন হল ->> সার্পোট জোন বা লাইনে নাকি এর আশে-পাশে।
- কোথায় পিনবারের স্টপ লস দিতে হয়।
- কোন পিনবারে অর্ডার বা ট্রেড করবেন এবং কোনটি কে এড়িয়ে যাবেন।
- পিনবারের কোন পজিশনে অর্ডার দিলে নিশ্চিত কিছু প্রফিট করা যায়।
- পিনবারের কোন পজিশনকে SL হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- কখন পিনবারে অর্ডার নেয়া উপযুক্ত নয় (নিউজ, বিগ প্লেয়ার ওয়ার)
- কোন টাইম ফ্রেম পিনবার ট্রেডিং জন্য ভাল (ব্যক্তিগতভাবে লর্ন টাইম ফ্রেম H4,D1,W1 ভাল রেজাল্ট দিয়ে থাকে)
- সবচেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কত পিপস TP দিবেন, এইজন্য পিনবারের লেগের(ছায়া) সাইজকে ব্যবহার করুন বা ক্যান্ডেলস্টিক প্যার্টান সম্পর্কে জানুন।
আপনারা যদি উপরের বিষয়গুলো মনে রেখে পিনবার ট্রেডিং করেন তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি ১০০% পারফেক্ট এন্টি এবং প্রফিট করতে পারবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন 'ফরেক্স' থেকে এত সহজে প্রফিট করা যায় না এবং একজন তো সরাসরি জিজ্ঞাসই করে ফেললো ->> ভাই ফরেক্স কি এতই সহজ আর এই নরমাল সিস্টেম কি সবসময় প্রফিট দিবে ?
->> আজ এই প্রশ্নের উত্তর দিলাম, আমি যখন ফরেক্স শুরু করেছিলাম আজ থেকে ৪-৫ বছর আগে তখন অনেকেই বলতে শুনতাম, আমার কাছে secret প্রফিট আয়ের ফর্রমূলা আছে আবার কেউ বলতো আমি মাকের্টের 'weak point' বার করে ফেলেছি আর আমি তাদেরকে পাগলের মত ফলো করতাম, তাদেরকেই ফরেক্স মনে করতাম! আজ এই কথা মনে পরলে শুধু হাসি পাই। কতই না বোকা বানাই আমাদের আশে-পাশের মানুষগুলো প্রতিনিয়ত! যেই যায় বলুক না কেন সবর্দা মনে রাখবেন এই কথাগুলো ->> "ফরেক্স মাকের্ট হল অর্ডার বাই/সেল প্রেসারের খেলা, যেই দিকে প্রেসার বেশি হবে মার্কেট সেই দিকেই যাবে। তাহলে এখন আপনিই আমাকে বলুন এই মাকের্টে কোন সিস্টেম বেশি কাজ করবে ? যেটি অধিকজ্ঞানী বা সঘোষিত প্রোফেশনাল ট্রেডার নিজে বা স্বপ্নে আবিষ্কার করছেন সেটি নাকি যেটি সার্বজনীন যা সারা ফরেক্স পৃথিবীর সবাই জানে এবং ফলো করে!" আশা করি এইবার আপনারা বুঝতে পেরে গেছেন কেন সাধারণ জ্ঞান সবর্দাই আমাদের প্রফিট দিয়ে থাকে। প্রফিট করার জন্য জ্ঞানের চেয়ে মানি ম্যানেজমেন্ট ও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার গুণ অর্জন বেশি গুরুত্বপূর্ণ ফরেক্স মাকের্টে ।
আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন 'ফরেক্স' থেকে এত সহজে প্রফিট করা যায় না এবং একজন তো সরাসরি জিজ্ঞাসই করে ফেললো ->> ভাই ফরেক্স কি এতই সহজ আর এই নরমাল সিস্টেম কি সবসময় প্রফিট দিবে ?
->> আজ এই প্রশ্নের উত্তর দিলাম, আমি যখন ফরেক্স শুরু করেছিলাম আজ থেকে ৪-৫ বছর আগে তখন অনেকেই বলতে শুনতাম, আমার কাছে secret প্রফিট আয়ের ফর্রমূলা আছে আবার কেউ বলতো আমি মাকের্টের 'weak point' বার করে ফেলেছি আর আমি তাদেরকে পাগলের মত ফলো করতাম, তাদেরকেই ফরেক্স মনে করতাম! আজ এই কথা মনে পরলে শুধু হাসি পাই। কতই না বোকা বানাই আমাদের আশে-পাশের মানুষগুলো প্রতিনিয়ত! যেই যায় বলুক না কেন সবর্দা মনে রাখবেন এই কথাগুলো ->> "ফরেক্স মাকের্ট হল অর্ডার বাই/সেল প্রেসারের খেলা, যেই দিকে প্রেসার বেশি হবে মার্কেট সেই দিকেই যাবে। তাহলে এখন আপনিই আমাকে বলুন এই মাকের্টে কোন সিস্টেম বেশি কাজ করবে ? যেটি অধিকজ্ঞানী বা সঘোষিত প্রোফেশনাল ট্রেডার নিজে বা স্বপ্নে আবিষ্কার করছেন সেটি নাকি যেটি সার্বজনীন যা সারা ফরেক্স পৃথিবীর সবাই জানে এবং ফলো করে!" আশা করি এইবার আপনারা বুঝতে পেরে গেছেন কেন সাধারণ জ্ঞান সবর্দাই আমাদের প্রফিট দিয়ে থাকে। প্রফিট করার জন্য জ্ঞানের চেয়ে মানি ম্যানেজমেন্ট ও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার গুণ অর্জন বেশি গুরুত্বপূর্ণ ফরেক্স মাকের্টে ।